মাদারীপুর জেলা এনসিপি সদস্য মেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক, নারী কেলেঙ্কারি, ব্ল্যাকমেইল ও অবৈধ বালু ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার এক নারীর সঙ্গে অশালীন কথোপকথনের ভিডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকতা জীবন থেকেই মেরাজুল বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। চারটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও নারী সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির কারণে তাকে একাধিকবার চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে এনসিপিতে যোগ দিয়ে মাদারীপুরে বালু ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন এবং ভুক্তভোগী নারীদের বিয়ে ও প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন। একাধিক নারী ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
এনসিপি নেতা মেরাজুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার একটি ফোন হারিয়ে গেছে, ওই ফোনে কী ছিল আমি জানি না।” অন্যদিকে, জেলা এনসিপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।