• ৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ আগস্ট রেহাই পায়নি শিশু ও অন্তসত্তা নারীও

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ১০, ২০২০, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ণ
১৫ আগস্ট রেহাই পায়নি শিশু ও অন্তসত্তা নারীও
সংবাদটি শেয়ার করুন...
আলম রায়হান
খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে খুনীচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট চালায় নৃশংসতম হত্যাজজ্ঞ। এ সময় খুনীরা রেহাই দেয়নি শিশু এবং অন্তসত্তা নারীকেও। খুনের রাতে বিদেশে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবাবের সকল সদস্য ঘাতকের বুলেটে নিহত হন।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলার পাশাপাশি প্রায় একই সময় ঘাতক দল হত্যা লীলা চালায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নীপতি মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াত ও ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে। সেখানেও চলে নির্বিচারে নারী-পুরুষ-শিশু হত্যা।
বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলার একই সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ঘাতকদের অপর একটি দল হত্যালীলা চালায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নীপতি মন্ত্রী আবদুর রব সেনিয়াবাত এবং যুবলীগ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে। সেখানেও চলে বর্বর হত্যাকান্ড। খুনিরা শেখ ফজলুল হক মনির অন্তসত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মনিকেও রেহাই দেয়নি। তবে সেদিন ঘটনাচক্রে বেঁচে যান তাদের দুই শিশু পুত্র।
শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে অবুঝ শিশু ঘটনাচক্রে বেঁচেগেলেও আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতী শিশু সুকান্ত বাবু ঘাতকের বুলেট থেকে বাঁচেননি। এ বাড়িতেও ঘাতকরা নির্বিচারে নারী-পুরুষ-শিশু হত্যা করেছে। বাড়ির সকলে গুলিবিদ্ধ হন। রক্তে ভেসে যায় মেঝে, ছয় লাশের পাশে বুলেটবিদ্ধ হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়েছিলেন নয়জন। এ বাড়ির একমাত্র আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ভবনের কার্নিশে লুকিয়ে অক্ষত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান। তাতে খুঁজতে দ্বিতীয় দফায় এসেছিলো ঘাতক দল।
পাকিস্তানের শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ সফল পরিণতিতে পৌছায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবস এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। এই পরাজয়ের গ্লানী ভোলেনি দেশী-বিদেশী অপশক্তি। নানান ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাঙ্গালী জাতির উপর মরনকামড় দেয়া হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।