প্রশাসন-রাজনীতি দুই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে: হিরণ কুমার দাস
দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ২১:৪৭ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশাল জেলা গণফোরামের সভাপতি হিরণ কুমার দাস একাধারে সিনিয়র আইনজীবি, রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ১৮ আগস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বরিশালের মানুষ খুবই আতংকগ্রস্থ ছিলো। ইউএনও’র অতটা মারমুখি হওয়া সমীচিন হয়নি, মেয়রেরও ঘটনাস্থলে যাওয়া ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় প্রশাসন ও রাজনীতি- দুই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’
এডভোকেড হিরণ কুমার দাসের সঙ্গে দৈনিক দখিনের সময় প্রতিনিধির কথা হয় ৯ সেপ্টেম্বর ফকিরবাড়ী রোডস্থ তার আইন পেশার চেম্বারে। ১৮ আগস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন ও ফেইসবুকে প্রকাশিত খবর ও মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাতে না গিয়ে দিনে যেতে পারতেন। তাদেরকে এ কথা ইউএনও বলতে পারতেন। কর্মীরা না শুনলে তিনি তাঁর উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের সিওকে জানাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি যা করেছেন তা কোন বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি সম্ভবত উগ্র ভাষায় কথা বলেছেন। এদিকে মেয়রের ভ‚মিকাও প্রশ্নবিদ্ধ! মেয়র কেন ঘটনাস্থলে যাবেন? তাঁর পদমর্যাদা তো বরিশাল বিভাগের সকল কর্মকর্তার উর্ধে। তিনি প্রশাসনের যে কাউকে বিষয়টি দেখার নিদের্শ দিতে পারতেন। তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলতে পারতেন। তা না করে তিনি নিজে বাইক চালিয়ে ঘটনাস্থলে গেলেন! তার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টিও তো বিবেচনা করা উচিত ছিলো। সেই রাতে তো অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মেয়র গুলিবিদ্ধ হলে পরিস্থিতি কী দাড়াতো, তৃতীয় পক্ষও গুলী করতে পারতো!
এক প্রশ্নের উত্তরে হিরণ কুমার দাস বলেন, সরকারী লোক আর সরকারী লোক নেই! তারা দলীয় লোকের মতো আচরণ করছেন। তিনি বলেন, সেদিনের ঘটনায় দুই পক্ষই তো সরকারের। প্রশাসন সরকারের, মেয়রও সরকারের। তার পরও এ রকম একটি অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটলো! এ ঘটনায় দুই তরফেরই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়। মানুষ আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। তবে ‘মিল-মিশের’ ফটো সেশনে জনমনে স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এরপর এক অনুষ্ঠানে ডিসি সাহেব যে কথা বলেছেন তা না বললেও পারতেন। অতীতে যেকেউ রাজনীতি করতেই পারেন। কিন্তু সকলকেই তার বর্তমান পদ ও দায়িত্ব মনে রাখা প্রয়োজন। কোন অনুষ্ঠানে কথা বলছেন- তাও বিবেচনায় রাখা উচিত।