• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে বিদেশী মদের সংকট: ভেজালের রমরমা ব্যবসা

দখিনের সময়
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১, ১৯:৫৫ অপরাহ্ণ
দেশে বিদেশী মদের সংকট: ভেজালের রমরমা ব্যবসা
সংবাদটি শেয়ার করুন...

স্টাফ রিপোর্টার ॥

নানান কারণে দেশে বিদেশী মদের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকেই বিদেশি মদ অনেকটা দুর্লভ হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে চলছে ভেজাল মদের রমরমা ব্যবসা।

বাংলাদেশের সরকারী প্রতিষ্ঠান চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থা সব ধরনের মদ এবং আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিয়ার তৈরি করে থাকে। কিন্তু দেশীয় এসব পণ্যের বাজার তেমন নেই। বরং বিদেশি মদের চাহিদা বেশি। এদিকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মদ্যপানের লাইসেন্স ব্যতীত মদ কেনা, বহন বা সংরক্ষণ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ সত্ত্বেও অনেক মানুষ লাইসেন্স ছাড়াই নিয়মিত মদ্যপান করেন।
আগে বিভিন্ন বার, ওয়্যারহাউজ থেকে সহজেই মদের বোতল কেনা যেতো। কিন্তু এখন বেশি টাকা দিয়েও সেখান থেকে মদ কেনা যায় না।

মদ বিক্রি করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েকমাস ধরে আইনকৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে মদ বিক্রিতে কড়াাকড়ি আরোপ করেছে ওয়্যারহাউজগুলো। সেই সঙ্গে বারের মদ আমদানিও অনেক কমে গেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিয়ার ও ওয়াইন আমদানি করতে হলে সাড়ে চারশ শতাংশ কর দিতে হয়। আর হুইস্কি বা ভদকার মতো পানীয় আমদানিতে শুল্কের হার ছয়শ শতাংশের বেশি। শুল্ক কর্মকর্তাদের অভিযোগ ওয়্যারহাউজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব পানীয় বিক্রি করছে। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার অনেক বার ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। ফলে গত দুইমাস ধরে ঢাকার অনেক বারে বিদেশি মদ একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব বারে বিক্রি হয়, সেখানেও দাম কয়েকগুণ বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানে দেশীয় মদও পাওয়া যায়।