স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার থানায় জবর দখলের অভিযোগ করেছেন নগরীর ফকির বাড়ী রোডের মাতৃছায়া শিশুকাননের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সুজিত কুমার দেবনাথ। রবিবার (২৬ জুলাই) বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় এ অভিযোগের পর জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেন বরিশাল বাসদ নেত্রী ডা. ডা. মনীষা চক্রবর্তীর। বিষয়টিকে পর্যবেক্ষক মহল ‘মুখ রক্ষার’ সংবাদ সম্মেলন হিসেবে দেখছেন।
ডাঃ মনীষা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগে বরিশার নগরীর ফকির বাড়ী রোডের মাতৃছায়া শিশুকাননের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সুজিত কুমার দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়টির এক পাশে একটি রুম খালি থাকায় এক শিক্ষকের অনুরোধে ডাঃ মনীষা চক্রবর্তীকে রুমটি শিশুদের বিজ্ঞান শেখানোর জন্য ‘বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ’ নামের সংগঠনটিকে মৌখিকভাবে ভাড়া দেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৮ মার্চ ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বিশ্ব কোভিড-১৯ উপলক্ষে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যালয়টির ৪টি কক্ষ ও তার সামনের প্রাঙ্গন ব্যবহার করার অনুমতি চাইলে মানবিক দিক বিকেচনা করে মৌখিকভাবে সাময়িক ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। ঈদুল ফিতরের পর ওই কার্যক্রম না চালায় বিদ্যালয় ত্যাগ করতে বললে মনীষা চক্রবর্তী কর্ণপাত করেননি।
থানায় এই অভিযোগের পরপরই মনিষা চত্রবর্তী এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন আহবান করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বরিশালে বাসদের অক্সিজেন ব্যাংক, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি চিকিৎসা ও মানবতার বাজার বন্ধের জন্য ‘ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র’ চলছে। বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের বাসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, মাতৃছায়া স্কুল, আমাদের কার্যালয় এবং এই কোচিং সেন্টারের স্থাপনা এবং জমির মালিক পারিবারিকসূত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান ইমাম চৌধুরীর উত্তরসূরি সন্তানেরা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করেন। তাঁরা বরিশাল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথের কাছে তা ভাড়া দিয়েছেন।
অধ্যক্ষ সুজিত কুমার মূলভবনের কয়েকটি রুমে মাতৃছায়া স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনার করেন এবং অন্যান্য বিভিন্ন রুম বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে আমাদের কার্যক্রমের ব্যপ্তি বৃদ্ধি পাওয়া এবং কোচিং সেন্টারটি বন্ধ থাকায় আমরা অব্যবহৃত এই ৪টি রুম ব্যবহারের অনুমতি চাইলে সুজিত কুমার আমাদের কার্যক্রমে খুশি হয়ে তা ব্যবহারের অনুমতি দেন। মালিক হাসান ইমাম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যবৃন্দও মাঝে মাঝে আমাদের ফোন করে কাজের খোঁজ খবর রাখতেন, সবসময়ই আমাদের কাজে উৎসাহ প্রদান করতেন, সহযোগিতাও করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. মনিষা বলেন, মালিক পরিবারের সাথে আমাদের আলোচনার বিষয়টি জানতে পেরে জনাব সুজিত কুমার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং করোনা দুর্যোগের সকল কাজ বন্ধ করে আমাদের রুমগুলো ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রদান করতে থাকেন। এমনকি ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কেও নানা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারসহ নানান অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ডা. মনিষা চক্রবর্তী।