দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন এপির জুলহাস আলম, ইউএনবির ফরিদ হোসেন, ঢাকা ট্রিবিউনের আলী আসিফ শাওনসহ আরও অনেকে। বিএফআইইউ তাদের হিসাবের তথ্য, কেওয়াইসি এবং লেনদেন বিবরণী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর সাবেক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিএফআইইউ তৎপর হয়। সন্দেহজনক লেনদেন বা অর্থপাচারের প্রমাণ পেলে এসব তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়টি গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট মহলে আলোড়ন তুলেছে। এটি কি সত্যিই দুর্নীতির তদন্ত, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য—সে প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, এটি তারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।