• ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনে পলাতক স্বৈরাচারের ছায়াভূত দেখার ফ্যাশন

দখিনের সময়
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ
প্রশাসনে পলাতক স্বৈরাচারের ছায়াভূত দেখার ফ্যাশন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
প্রশাসনে কেবলই পলাতক স্বৈরাচারের ছায়াভূত দেখার বিষয়টি এক ধরনের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা বাহুল্য, প্রকৃত প্রস্তাবেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা প্রশাসনে ভক্ত-অনুরক্ত-অবৈধ সুবিধাভোগীদের হাটবাজার বসেছিল। অনেকটা রেড লাইট এলাকার মতো। যেটি রাজনীতির অঙ্গনে করেছেন আমাদের দেশের সামরিক শাসকরা। এতে রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। শেখ হাসিনা আর কয়েক ধাপ নেমে রাজনীতি-সরকার-বিচারসহ সবই নষ্ট করেছেন। আর এই ধারায় সরকারের মেরুদণ্ড আমলাতন্ত্রের সর্বনাশ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসিনা আমলের চাকরিজীবী, বিশেষ করে আমলারা কি আগের কেবলায় আছেন?
নিশ্চিতভাবে বলা চলে, যারা শেখ হাসিনার প্রতি অতি অনুগত ছিলেন তারাই ৫ আগস্টের পর সবার আগে কেবলা বদল করেছেন। আর এটি নতুন কোনো বিষয় নয়; বরং এটিই আমলাদের ইনবিল্ড প্রবণতা। অতএব যারা হাসিনা সরকারের অনুগত ছিলেন তারা পরবর্তী সরকারের অনুগত হবে না- এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। আর কেবল আনুগত্য নয়, দুর্নীতিতেও আমলাদের চ্যাম্পিয়ন করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। যেমনটা সামরিক শাসকরা রাজনীতিকদের করেছেন।
মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনীতিকরা দুর্নীতি না করলে ছোট-বড়-মাঝারি আমলা তো অনেক দূরের কথা, পিয়নও দুর্নীতি করতে পারে না। কাজেই সরকারের অভ্যন্তর থেকে দুর্নীতি দূর করার ক্ষেত্রে অব্যর্থ দাওয়াই হচ্ছে রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী এবং অরাজনৈতিক সরকারের উপদেষ্টাদের দুর্নীতিমুক্ত থাকা। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, ড. ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এখনো শুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর কোন খবর বের হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ২২ জানুয়ারি ২০২৫।
শিরোনাম ‘আমলাতন্ত্রের মৌচাকে ঢিল’
# আগামী কাল, ‘কেবল সৎ হলেই হয় না’