নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০৯ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী বিচারপ্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও কার্যকর করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধিত আইনটি বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ধর্ষণের তদন্ত ও বিচার দ্রুত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি, শিশু ধর্ষণের মামলার জন্য আলাদা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এছাড়া, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনায় আলাদা আইন করার বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইনের নতুন সংশোধনীতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্মতি ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু পুরুষ নয়, বরং যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। আদালত চাইলে শুধুমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই বিচার সম্পন্ন করতে পারবেন, ডিএনএ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক থাকবে না। তবে কেউ মিথ্যা মামলা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন আইন উপদেষ্টা।