যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক অনিয়ম ও গোপন লেনদেনের তথ্য। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, এই সম্পদ লেনদেনের সঙ্গে শেখ রেহানার নামও জড়িত। তদন্তে দেখা গেছে, ব্যারিস্টার মঈন গণি নামের এক আইনজীবী ঢাকায় শেখ রেহানার কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে বিনিময়ে লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন টিউলিপের পরিবারকে। দুদক মনে করছে, এটি অবৈধ সম্পদ লুকানোর একটি পরিকল্পিত কৌশল।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা এখনো শেখ রেহানার নামে থাকলেও সেটির নিয়ন্ত্রণে আছেন ব্যারিস্টার মঈন গণি। কেয়ারটেকার রিপন জানিয়েছেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে শেখ রেহানা সেটি হস্তান্তর করেছেন মঈন গণিকে। দুদক নিশ্চিত করেছে, মঈন গণি শুধু রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বন্ধু নন, বরং আওয়ামী লীগ সরকারের আইনি পরামর্শক হিসেবেও কাজ করতেন এবং ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে একাধিক সুবিধা নিয়েছেন।
এর আগে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০০৯ সালে উত্তর লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট টিউলিপের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে উপহার দেন মঈন গণি, যা টিউলিপই ব্যবহার করতেন। একইভাবে, আরও একটি ফ্ল্যাট উপহারের পেছনেও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা পরিবারের সম্পদ নিয়ে চলমান তদন্তে ইতোমধ্যে সাতটি ফ্ল্যাট ও ১২৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুদক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এটি লুকাতে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে পরিবারটি।