
দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশাল আদালতের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়েরা জজ আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গেলে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একটি দল সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুল ইসলামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করাসহ, ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ভাঙচুর করা এবং নগদ টাকা লুটে নেয় হামলাকারীরা। পাশাপাশি আদালতের প্রধান ফটকেই সাংবাদিকদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীসহ ২২ জনের নামে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ১০ জন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আদালতের গেটে সাংবাদিকের ওপর হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকরা কোনো দলের নয়, তারা তাদের কাজ করবে-এটাই স্বাভাবিক। সেই কাজে বাধা দেওয়া, সাংবদিকদের মারধর করা এবং তাদের মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া, ক্যামেরা-মোবাইল ভাঙচুর করার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করে পার পেয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা আইনগতভাবে যেমন বিষয়টি দেখেছি, তেমনি সন্ত্রাসীর বিচারও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দর কাছে দাবি করেছি।
এদিকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই সাংবাদিককে দেখতে যান মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন, সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, নুরুল আমিন প্রমুখ।
Post Views:
০