মসজিদ হয়ে উঠছে একেকটি অস্থায়ী হাসপাতাল, ইসলামের মূল আদর্শ প্রমান করলো ভারতীয় মুনলমানরা
দখিনের সময়
প্রকাশিত এপ্রিল ২৯, ২০২১, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স:
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে বহু বছর ধরে। গুজরাটের দাঙ্গা, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর গত বছর দিল্লির দাঙ্গাতেও বড় ভুক্তভোগী ধরা হয় মুসলিমদের। তবে ইসলাম যে শান্তি ধর্ম, তা আবারও প্রমাণ করছেন ভারতীয় মুসলিমরা। করোনা রোগীদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দিয়েছেন তারা। সেগুলো হয়ে উঠছে একেকটি অস্থায়ী হাসপাতাল, যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষত থাকা গুজরাটে করোনা আক্রান্ত সব ধর্মের মানুষের জন্য শহরের বিভিন্ন মসজিদ খুলে দিয়েছেন মুসলমানরা। সেগুলো হয়ে উঠছে একেকটি অস্থায়ী হাসপাতাল। এগুলোর মধ্যে গুজরাটের ভাদোদারা শহরের জাহাঙ্গীরপুরা মসজিদের নাম উল্লেখযোগ্য। এটিকে সম্প্রতি ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালটির ট্রাস্টি ইরফান শেখ আরব নিউজকে বলেন, শহরের করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়, মানুষ হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছে না। তাই তাদের স্বস্তি দিতে আমরা মসজিদ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু মসজিদ খুলে দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ৫০ শয্যাই পূরণ হয়ে যায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হাসপাতালগুলো কী পরিমাণ চাপে রয়েছে। অক্সিজেন পেতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ পেলে মসজিদে আরও ৫০টি শয্যা বসানো সম্ভব।
জাহাঙ্গীরপুরার মতো সেখানকার দারুল উলুম মসজিদকেও করোনা হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে শয্যা রয়েছে ১৪২টি। সেখানে ২০ জন নার্স ও তিনজন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে চলেছেন। মসজিদটির পরিচালনা কমিটির সদস্য আশফাক মালেক তন্দলজা বলেন, আমরা এক হাজার শয্যার হাসপাতাল বানাতে পারি, তবে অক্সিজেন সরবরাহ কম। এসব মসজিদ মুসলিমপ্রধান এলাকায় হলেও সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন সব ধর্মের মানুষই। এ বিষয়ে ইরফান শেখ বলেন, আমাদের কেন্দ্রে ৫০ শয্যার ১৫টিতেই অমুসলিমরা রয়েছেন। আমরা মানবতার সেবা করি, ধর্মের নয়।