দখিনের সময় ডেস্ক:
দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৫টি ব্যাংকের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সঞ্চয়পত্র, সঞ্চয় বন্ড, ওয়েজ আর্নার বন্ড ও প্রাইজবন্ড বিক্রয়ের বিপরীতে কমিশনের ক্ষেত্রে এ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিক্রি করা সরকারি বন্ডের বিপরীতে ১৫ ব্যাংকের মোট সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভ্যাট অপরিশোধিত ছিল বলে দাবি এনবিআরের।
এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) নিজস্ব তদন্তে বিষয়টি সামনে আসে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে বকেয়া ভ্যাটের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। যে কারণে সরকারি-বেসরকারি ১৫ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো চিঠিতে ব্যাংকের প্রতিনিধি পাঠিয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে ভ্যাট বিভাগ।
গত ১৬ জুন এলটিইউর ভ্যাট বিভাগের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী সই করা চিঠিতে প্রতিটি ব্যাংকের ন্যূনতম ডিএমডি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ২৩ জুন বিকেল ৩টায় উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, স্টান্ডার্ড চাটার্ট ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও আরব বাংলাদেশ (এবি ব্যাংক) লিমিটেড।
যদিও বকেয়া বা ফাঁকিকৃত ভ্যাটের বিষয়ে একমত নয় ব্যাংকগুলো। তাদের দাবি, প্রকৃত পক্ষে কোনো ভ্যাট বকেয়া নেই। ভ্যাট পরিশোধের চালান রয়েছে তাদের কাছে। হয়ত এলটিইউর ভ্যাট বিভাগের কাছে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে।