দখিনের সময় ডেস্ক:
ডলারের দাম আবার বেড়েছে। খোলাবাজারে প্রথমবার ডলারের দাম ১০২ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ওঠে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকেও নগদ ডলারের দাম বেশ চড়া। প্রবাসী আয়ের নিম্নমুখী প্রবণতা ও আমদানি ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গত বছরের আগস্ট থেকে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ডলারের দাম।
ব্যাংকগুলোতে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকার নিচে মিলছে না ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত ডলারের রেট ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আনুষ্ঠানিক দর হিসেবে পরিচিত। এ হিসাবে আন্তঃব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে ডলারের দামের ব্যবধান এখন ৮ টাকা ৫৫ পয়সা।
মানি চেঞ্জার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদুল আজহার পর থেকে ডলারের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে, কিন্তু সরবরাহ সেভাবে বাড়েনি। আবার ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সবাই খুচরা ডলারের জন্য খোলাবাজারেই আসছে। এতে দাম বাড়ছে।
ডলার বিক্রিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েও ডলারের বাজারের অস্থিরতা থামাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এই ডলার বিক্রি করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার মিলছে না। বর্তমানে আমদানি পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের প্রতি ডলারের জন্য গুনতে হচ্ছে ৯৮-৯৯ টাকা।
অভিযোগ আছে, সংকটের সুযোগ নিয়ে ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোর দাবি, সংকটের কারণে রেমিটার ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে তাদের বেশি দামেই ডলার নিতে হচ্ছে। এ কারণে তাদেরও বেশি দামেই ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনার পরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়ে গেছে। তাই বাজারে ডলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে দামও বাড়ছে। তবে ডলারের বাজার অস্থিরতা ঠেকাতে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি আরও জানান, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।