লক্ষ্মীপুরে আলমারির গ্লাস ভাঙার জের ধরে মাহফুজুর রহমানের (২০) রডের আঘাতে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের উত্তর টুমচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেজো ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা (মিশুক) চালক। মাহফুজ তার আপন ছোট ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, ইস্রাফিল (৮) ও ইয়ামিন (৩) নামে দুই ছেলে রয়েছে জাহাঙ্গীরের। বিকেলে খেলার সময় দাদা নুর মোহাম্মদের ঘরে শিশু ইয়ামিন একটি লাঠি ছুড়ে মারে। এতে ঘরে থাকা আলমারির গ্লাস ভেঙে যায়। এ নিয়ে নুর মোহাম্মদসহ তার স্ত্রী রহিমা খাতুন, মেয়ে দোলা আক্তার, মোসুমি ও ছেলে মাহফুজ এসে শারমিনের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে বাড়িতে এলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এরমধ্যে উভয় পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাহফুজ একটি রড দিয়ে বড় ভাই জাহাঙ্গীরের মাথায় আঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে সদর হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে শারমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমার দুই সন্তানকে এতিম করে দিয়েছে তারা। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের ঘটনায় ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে জাহাঙ্গীর মারা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।