জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ডসহ নানা ইলেকট্রনিক প্রমাণ হাতে পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। এসব প্রমাণে গণহত্যা ও নিখোঁজের ঘটনায় নির্দেশ প্রদানের তথ্য উঠে এসেছে। প্রসিকিউশন এই তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইলে, আদালত সিআইডিকে এ বিষয়ে সহযোগিতার নির্দেশ দেন।
এদিকে, তদন্তে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)সহ বিভিন্ন সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগও উঠে আসে। গুম এবং হত্যাকাণ্ডের আলামত মুছে ফেলার চেষ্টার প্রমাণ মিলেছে বলে জানান প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। একই সঙ্গে যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরের গণহত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণহত্যার মতো নৃশংস অপরাধের পেছনে শক্তিশালী পরিকল্পনা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের স্পষ্ট নজির পাওয়া যাচ্ছে। তদন্তে নতুন আলামতের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।