সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চলের মানুষরা দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছেন। নদী, খাল ও জলাধার ইজারার পাশাপাশি অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের স্থাপনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। বছরের প্রায় ছয় মাস এই এলাকার ফসলি জমি জলমগ্ন থাকে, এতে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
পানিবন্দি মানুষদের অভিযোগ, রাস্তার পাশেও সরকারি জায়গা থাকা সত্ত্বেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ইজারা দেওয়ায় নদী, খাল ও জলাধারে পানি সহজে বের হতে পারছে না। এর ফলে ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন জীবন থমকে যাচ্ছে। বর্ষার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় আশাশুনি উপজেলার জায়ালের খাল ও খাজরার চেউটিয়া খাল ইজারার কারণে শত শত বিঘা জমি প্লাবিত হয়েছে এবং বহু চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে।
জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, ‘নদী-খাল ভরাট ও দখল করা ভূমিদস্যুর কারণে পানি স্বাভাবিকভাবে সরছে না। খাল ও নদী উদ্ধার করে খনন করা জরুরি।’ জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, ‘কিছু জায়গার ইজারা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নতুন ইজারা দেওয়া হবে না।’ ভুক্তভোগীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।