রাজধানীতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে সড়কে মানুষের চলাচল ছিলো কম। শুক্রবার বেশিরভাগ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় সড়কে গাড়িও চলছে কম। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যর গাড়িও।
বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া লোকজনকে থামিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে চলাচলের কারণ। বেশিরভাগই যৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে কেউ চলাচল করলে বাড়ি ফিরে যাওয়ারও আনুরোধ করা হচ্ছে।
সড়কে জরুরি সেবা ওপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চোকপোস্টে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। গতকালের তুলনায় আজ সকালে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়েছে।
বন্ধ ছিল রাজধানীর পান্থপথ, বাংলামোটর, খিলগাঁও, ফার্মগেট এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট । প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেশি চোখে পড়েছে। সকালের দিকে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পণ্যবাহী কিছু যান চলেছে।
গতকাল যারা বিনা কারণে বের হয়েছেন, তাদের অনেককেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হতে হয়েছে অথবা জরিমানা দিতে হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়ায় গতকাল ঢাকায় পাঁচ’শ জনকে আটক করা হয়।
২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার ও ৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এর বাইরে র্যাব ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সারা দেশে ১৮২ জনকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।