সার্ভার জটিলতার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে টিকা নিবন্ধনের প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরুই করা যায়নি। এর ফলে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে। অনিশ্চয়তার হয়েছে অনেকের বিদেশযাত্রা। কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে প্রতি জেলায় জনশক্তি অফিসে শুক্রবার (২ জুলাই) থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয় সরকার। সকাল ৯টায় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি সার্ভারে দেখা দেয় জটিলতা। সার্ভারে নিবন্ধনের জন্য ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পে করার সময় স্থগিত হয় সার্ভারের কার্যক্রম। শুরু হয় উপস্থিত বিদেশগামীদের হট্টগোল।
এদিকে চট্টগ্রামেও জটিলতা দেখা দেয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েন প্রবাসীরা। এ ছাড়া ভিসার মেয়াদ দু-একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে আছেন চাকরি হারানোর শঙ্কায়। টিকা নিবন্ধন করতে আসা এক প্রবাসী কর্মী বললেন, বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) রেজিস্ট্রেশন আরও এক মাস মেয়াদ আছে। টিকা নিবন্ধন করতে আসলে, এখান থেকে জানানো হলো, যাদের বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন আছে তারা চলে যান।
অব্যবস্থাপনার শিকার প্রবাসী কর্মীরা বলেন, এখানে এসে দেখলাম অফিসের কোনো ব্যবস্থাপনাই ঠিক নাই। বুঝছি না কি করব। একজনের কাছে গেলে অন্যজনকে দেখিয়ে দেন। সে আবার আরেকজনের কাছে যেতে বলেন। স্পষ্ট করে বলছেন না, কি করতে হবে।
তারা বলছেন, অনেকেরই ভিসার মেয়াদ আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো আছে। এখন যদি গন্তব্যে যেতে না পারে, তাহলে তাদের চাকরি থাকবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা সার্ভার সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছেন ।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে জানানো হয়, এমআরপি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের নগদ বা বিকাশে (মোবাইল ব্যাংকিং) সরকারের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার কথা। সার্ভারের জটিলতা সমাধানে আমাদের যে টেকনিক্যাল সাপোর্ট রয়েছে, তাদের অবহিত করেছি।
ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা বলেন, আমাদের একটা ফেসবুকে পেজ ও ওয়েবসাইট আছে, সেখানে বলা আছে আগামীকাল (শনিবার ৩ জুলাই), শুধু যারা দোহার উপজেলার তারাই আসবেন। আমরা তারিখ অনুযায়ী ভাগ করে দিয়েছে। ঢাকা জেলার কোন কোন উপজেলা, এরপর সিটি করপোরেশন এলাকা কবে কখন নিবন্ধন করা হবে।
সার্ভার জটিলতা কেটে গেলে কুয়েত ও সউদী প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানায় জনশক্তি অফিস। এ ছাড়াও প্রবাসী অ্যাপেও নিবন্ধন করা যাবে।