• ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে রেসরকারী শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, অবসর প্রাপ্তদের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষক সমিতি

দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ৫, ২০২০, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে রেসরকারী শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, অবসর প্রাপ্তদের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষক সমিতি
সংবাদটি শেয়ার করুন...
স্টাফ রিপোর্টার:
আজ ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বেসরকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ এবং অন্যান্য দাবিতে যেখানে ঐক্যের প্রয়োজন ছিলো সেখানে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বহুধা বিভক্ত হয়ে আছে। বরিশালে দুই গ্রুপের মধ্যে বিভাজন অত্যন্ত প্রকট। এমনকি এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরূদ্ধে বহুতল ভবন জবর দখলের অভিযোগ করে আসছে বহু দিন ধরে। এদিকে সমিতির মূল নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। উল্লেখ্য, জাতীয় করণের দাবী পুরণ হলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগতভাবে কোন লাভ নেই।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বরিশালে শিক্ষক সমিতির এক গ্রুপ আজ ফকিরবাড়ী রোডের শিক্ষক ভবনে অবসরপ্রাপ্ত ১৫ শিক্ষককে সম্বর্ধনা দেবে। এ গ্রুপের নেতেৃত্বে আছেন সভাপতি হিসেবে অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ। যদিও বাস্তব এই অংশের সমিতির বরিশাল অঞ্চলের প্রধান উপদেষ্টা দাশগুপ্ত আশীষ কুমার নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জনশ্রুতি আছে। এ অংশের আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: ছাদেকুল আরেফিন ও বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো: মোয়াজ্জেম হোসেন।
অপর অংশের সভাপতি হচ্ছেন আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। এই অংশের শিক্ষকগণ আজ সকালে আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এই গ্রুপের অভিযোগ হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ‘আশীষ বাবুরা’ শিক্ষকভবন জবর দখল করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দাশগুপ্ত আশীষ কুমার গ্রুপের বরিশাল জেলা সেক্রেটারী আসাদুল আলম আসাদ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক দখিনের সময় প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, কাগজপত্র সব তাদের নামে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসারে অবসরপ্রাপ্তরা সমিতির নেতৃত্বে থাকতে কোন বাধা নেই। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতীয়করণের দাবী এখনো আদায় না হলেও বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা স্কেলসহ যে সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন তা শিক্ষক সমিতির আন্দোলনেরই ফসল।