• ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাওয়ালের ছয় রোজা: বরকতের ছায়ায় বছরজুড়ে সওয়াব

দখিনের সময়
প্রকাশিত এপ্রিল ৭, ২০২৫, ১৮:৩৩ অপরাহ্ণ
শাওয়ালের ছয় রোজা: বরকতের ছায়ায় বছরজুড়ে সওয়াব
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
রমজানের ফরজ রোজা পালন শেষে যাঁরা শাওয়াল মাসে অতিরিক্ত ছয়টি নফল রোজা রাখেন, তাঁদের জন্য রয়েছে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব। সাহিহ হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—“যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এবং তারপর শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পুরো বছর রোজা রাখল” (মুসলিম: ১১৬৪)। কোরআনের সুরা আন’আমেও উল্লেখ আছে, ‘যে কেউ একটি সৎকাজ করবে, তার জন্য থাকবে দশগুণ প্রতিদান।’ সেই হিসেবে রমজানের ৩০ রোজা মানে ৩০০ দিনের সওয়াব আর শাওয়ালের ছয় রোজা মানে ৬০ দিনের, মোট ৩৬০ দিনের সওয়াব—যা সারা বছরের সমান।
শাওয়ালের এই ছয়টি রোজা ফরজ নয়, বরং নফল। অর্থাৎ এগুলো রাখলে সওয়াব, না রাখলে গুনাহ নেই। তবে এর ফজিলত অগণিত। হাদিসে কোথাও বলা হয়নি ছয়টি রোজা একটানা রাখতে হবে বা মাসের শুরুতেই রাখতে হবে। বরং মাসজুড়ে যেকোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই সে সওয়াব পাওয়া যাবে। এমনকি রমজানে অসুস্থতা, মাসিক, কিংবা অন্য কারণে কেউ রোজা না রাখতে পারলে শাওয়ালের রোজা রাখায় বাধা নেই। তবে আলেমদের অভিমত অনুযায়ী, আগে কাযা রোজা পূর্ণ করে তারপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা উত্তম।
প্রিয় নবী (সা.) নিজেও এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও উৎসাহিত করতেন। এছাড়া সাপ্তাহিক (সোমবার ও বৃহস্পতিবার), মাসিক (১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ), আশুরা, জিলহজের ৯ তারিখ, শাবান মাসের রোজা ইত্যাদি নিয়মিতভাবে রাখতেন তিনি। আর আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন—“যখন কোনো ফরজ দায়িত্ব শেষ করবে, তখন নফল আমলে নিজেকে ব্যস্ত রাখবে।” তাই শাওয়ালের ছয়টি রোজা শুধু অতিরিক্ত সওয়াবের উৎস নয়, বরং এটি রমজানের আমল কবুল হওয়ারও এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।