দখিনের সময় ডেস্ক :
সেক্স টয়ের ব্যবসা এখন আর গোপনীয় কিছু নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, এই সংখ্যাটি ইলেকট্রিক টুথব্রাশের চেয়ে ১০ গুণ এবং গত বছরে সারা বিশ্বে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সর্বমোট বিক্রির চেয়েও বেশি। সেক্স টয়-এর দ্রæততম ক্রমবর্ধমান বাজার এখন ভারত আর চীন। এ বাজার দ্রæত সম্প্রসারিত হচ্ছে। যৌনতার ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিষয় চেষ্টা করতে আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেকনাভিও’র বিশ্লেষক যশুয়ার মতে, এটি সবচেয়ে দ্রত বাজার করে নিচ্ছে ভারত এবং চীনে। খবরসূত্র: বিবিসি।
একটা সময়ে সেক্স টয় বা যৌন খেলনা ছিল একধরনের অপ্রচলিত পণ্য। শুরুতে ডাকযোগে অর্ডার করা পণ্যের তালিকায় ছিলো এটি। কিন্তু সা¤প্রতিক সময়ে এটি প্রকাশ্যে চেইনশপে বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বে এটি বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। খবরসূত্র: বিবিসি। সেক্স টয় বাজারজাত হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক উন্নয়নের মজার এক মাধ্যম হিসেবে। আপনি এই তথ্যে লজ্জা পেতে পারেন, আপনার একটু হাসিও পেতে পারে, কিন্তু এটি সত্যি যে সেক্স টয় একটি বিরাট বিশাল বাণিজ্য পণ্য। সুতরাং সততার সাথে জবাব দিন এবার: আপনার নিজের কি একটি সেক্স টয় বা যৌন খেলনা আছে? যদি থেকে থাকে তা কি আপনি বন্ধুদের কাছে স্বীকার করবেন? এই দুটি প্রশ্নের ‘হ্যাঁ’ জবাবটাই ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে।
একটা সময় ছিলো যখন গোপনে এটি ডাকযোগে অর্ডার করা হতো বা কেনা হতো- আর এগুলোর বিজ্ঞাপন ছাপানো হতো কোনো পর্ণ ম্যাগাজিনের পেছনের পাতায়। কিন্তু এখন এটি সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক ভালো করার মজার একটা উপায় হিসেবেই বিক্রি হয়ে থাকে প্রকাশ্যে। এখন এগুলো আর বিব্রতকর কোনো কিছু নয়, সেক্স টয় এখন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে দাড়িয়েছে, আর বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে বেড়েছে এর বিক্রি।
মার্কিনিদের চেয়েও সেক্স টয় বড় ক্রেতা ইউরোপিয়ানরা। সেক্স টয়-এর ক্ষেত্রে ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে ইউরোপীয়রা মার্কিনিদের থেকে এগিয়ে এমন পরিসংখ্যান টেকনোভিও’র। কছু জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইতালির অন্তত ৭০ শতাংশ নারী পুরুষ এই সেক্স টয় ব্যবহার করছেন। এর বেচা-কেনা দুটোইতেই এগিয়ে মেয়েরা। শুধু নারীরাই যে সেক্স টয় ব্যবহার করছেন, তা কিন্তু নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৫০ভাগ পুরুষ কখনো কখনো সেক্স টয় বা যৌন খেলনা ব্যবহার করছেন। নারীদের বিবেচনায় আনলে তার পরিমাণ বেড়ে যায়, অন্তত এটি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ নারীদের ক্ষেত্রে।
গবেষণা বলছে, সেক্স টয় বাণিজ্য প্রসারে বড় ভ‚মিকা রেখেছে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সাথে বেড়েছে সেক্স টয়ের চাহিদা, ১৯৭৬ এর সেক্স টয় কোম্পানি ডক জনসন-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রন। তার সন্তান এরিক ব্রাভারম্যান বলেন, সেক্স টয় সম্পর্কে কল্পনা এবং ধারনার পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে। এর বেচা-কেনা দুটোইতেই সবচেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।
গেল শতকের ৯০’এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো ‘সেক্স এন্ড দ্য সিটি’তে প্রচারিত চারজন মূল চরিত্র যখন নিজেদের মধ্যে ‘ভাইব্রেটর’ নিয়ে আলোচনা করছিল- মিজ এরিকের মতে, সেটি ছিল পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যে ‘বিশাল মুহুর্ত।’ এ নিয়ে তার ভাষ্য হলো, নারীবাদ এখানে বড় ভ‚মিকা রেখেছে। আমি মনে করি নারীর ক্ষমতায়নের ফলেই সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এই শিল্পের বাজার এগিয়ে গেছে।