• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষের দিনগুলোতে খুনীচক্রের অনেক দোসর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করেছে

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ৪, ২০২০, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
শেষের দিনগুলোতে খুনীচক্রের অনেক দোসর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করেছে
সংবাদটি শেয়ার করুন...
আলম রায়হান:
শেষের দিনগুলোতে খুনীদের সহযোগী, পরামর্শকরাও ঘনঘন দেখাসাক্ষাত করেছেন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে। শেষের দিনগুলোতে খুনীচক্রের অনেক দোসর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করেছে, কথা বলেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারার’ অপেক্ষায় ছিলো খুনীচক্র।
আগস্টের ১ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সাক্ষাত করেছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী। যিনি মোশতাকের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ও দায়িত্ব পালন করেন। আর এই মন্ত্রীর অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর বিপথগামী একাংশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।
১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট হতে ১৪ আগস্ট- এই দুই সপ্তাহ বঙ্গবন্ধু খুবই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সরকারী নানান কর্মসূচীর বাইরেও নতুন দল বাকশালের পূর্ণাঙ্গ সেট আপ তৈরিতেও  ব্যস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। পাশাপাশি খুনীরাও অপতৎপরতায় ছিল শশব্যস্ত। বঙ্গবন্ধুর এই সময়ের সাক্ষাতপ্রার্থী, যারা নেতার সান্নিধ্য পেতে ভিড় করেছিলেন তাদের অনেককেই দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পর তাঁর খুনী ও শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, খুনী মোশতাক সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন।
আগস্ট মাসের ৪ তারিখ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তান ফেরত মেজর জেনারেল মজিদ-উল-হক হক। ঢাকায় আসার আগের দিনও তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। ঢাকায় স্ক্রিনিং বোর্ড তাকে বাদ দেয়। কিন্তু তদবিরে সফল হয়ে সেনাবাহিনীর চাকরি ফিরে পান। পরে জিয়া-খালেদার মন্ত্রী হয়েছেন। ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় মোয়াজ্জেম আহমদ চৌধুরী, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কৃষক লীগ নেতা রহমত আলী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। রহমত আলী ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর কর্ণধার হয়েছিলেন খন্দকার মোশতাকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে । সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মস্কোতে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত শামসুল হক সাক্ষাত করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে।