ডাক্তার ১৮ বছর ধরে নারী অ্যাথলেটদের যৌন নির্যাতন করেছেন। যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন খোদ সিমোনা বাইলসও। সেই নির্যাতনেরই সাক্ষী দিলেন এই জিমন্যাস্ট। গতকাল বুধবার সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাইলস। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সতীর্থ অ্যালি রাইসম্যান, ম্যাকালা মারোনি এবং ম্যাগি নিকোলস। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ারি।
এবারের টোকিও অলিম্পিকে অন্যতম আলোচিত নাম ছিলেন সিমোনা বাইলস। তিনি আলোচিত হয়েছিলেন, মানসিক অসুস্থতার কারণে একের পর এক নিজের প্রিয় ইভেন্টগুলো থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এই জিমন্যাস্ট কেন টোকিও এসে এতটা মানসিক সমস্যায় ভুগেছিলেন, এর তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে তাদের দলের সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন সিমোনা বাইলস।
সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটি ল্যারি নাসারের বিপক্ষে ওঠা নারী অ্যাথলেটদের যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখছে। সে সঙ্গে তারা ল্যারি নাসারের বিপক্ষে করা এফবিআইর তদন্ত রিপোর্টের ক্রুটিগুলোও ক্ষতিয়ে দেখছে। এরই মধ্যে অবশ্য ল্যারি নাসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। বাইলস বলেন, ‘আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা, অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্স সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) নিজেদের ভূমিকা ঠিকমতো পালনই করেনি। সে জন্যই জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে।’
বিশেষ করে এফবিআই বিরুদ্ধে বাইলসের অভিযোগ, তারা চোখ বন্ধ করেছিল। সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে বাইলস বলেন, ‘ল্যারি নাসার তো অপরাধীই। ওকে যেমন আমি দোষ দিচ্ছি, একইভাবে দোষ দেব আমাদের গোটা সিস্টেমকেই। সিস্টেম ঠিক না হওয়ার কারণেই নাসার দিনের পর দিন এই খারাপ কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা এবং অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্স সংস্থা নিজেদের কাজটাই ঠিক মতো করেনি। এফবিআই তো চোখ বন্ধ করে বসেছিল। তারাও নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করেনি। তা না হলে এত দিন ধরে এই অপরাধ করে যেতে পারত না নাসার।’