• ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালিয়েছিল মাদ্রাসার ৩ ছাত্রী, দুজনে চাকুরী নিয়েছিলো গার্মেন্টেসে

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ
পালিয়েছিল মাদ্রাসার ৩ ছাত্রী, দুজনে চাকুরী নিয়েছিলো গার্মেন্টেসে
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

জামালপুরের ইসলামপুর থেকে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রীকে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা বলছে, মাদ্রাসার পরিচালকের স্ত্রীর ১ হাজার টাকা হারানোর ঘটনায় ওই ছাত্রীদের সন্দেহ করা হচ্ছিল। টাকা ফেরত দিতে তাদের চাপও দেওয়া হয়। ভয়ে ওই ছাত্রীরা গভীর রাতে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার(১৭সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর দারুত তাক্কওয়া মহিলা মাদ্রাসার মোহতামিম আসাদুজ্জামানের স্ত্রীর ১ হাজার টাকা সম্প্রতি হারিয়ে যায়। মাদ্রাসার সব শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন ছাত্রীকে সন্দেহ করেন। টাকা ফেরত দিতে তাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। অন্যরা তাদের নানা কথা বলতে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ওই ছাত্রীরা। গত রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষের জানালা দিয়ে বাইরে বের হয় তারা। হেঁটে ইসলামপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। তিনজনের কাছে মাত্র ৩৪০ টাকা ছিল। সেই টাকা দিয়ে তারা ট্রেনের টিকিট কাটে। সোমবার ভোরে ট্রেন ছাড়ে। সেটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে তিন ছাত্রী নেমে পড়ে। ৯, ১০, ১১ বছর বয়সী এই মেয়েগুলোর কাছে আর কোনো টাকাপয়সা ছিল না।

ইসলামপুর থানা কার্যালয় এলাকার পুলিশ কল্যাণ মার্কেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। তাতে ওই তিন ছাত্রীকে হেঁটে ইসলামপুর স্টেশনের দিকে যেতে দেখা যায়। এর সূত্র ধরে জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন মিয়ার নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় যায়। দলটির সদস্যরা কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেন। তাতে ওই তিন ছাত্রীকে স্টেশন থেকে বের হতে দেখা যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা কমলাপুর স্টেশনের আশপাশের লোকজনকে তিন ছাত্রীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।

একপর্যায়ে রাজা মিয়া নামের এক রিকশাচালক ওই তিন ছাত্রীর হদিস দেন। রাজা মিয়ার বাড়িতেই ছিল তারা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের ইসলামপুরে ফিরিয়ে আনা হয়। পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রিকশাচালক রাজা মিয়া ওই ছাত্রীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিন ছাত্রীর মধ্যে দুজন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরিও নিয়েছিল। রিকশাচালকের সহযোগিতায় তারা একটি ঘরও ভাড়া করেছিল।