মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত, মাদরাসা ছাত্রদের নিয়ে জয়ার পোস্ট
দখিনের সময়
প্রকাশিত মার্চ ১৯, ২০২৪, ২১:৩৭ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনেরর সময় ডেস্ক:
সম্প্রতি জয়ার ফেসবুকে দেখা মিলল কওমি মাদরাসার বাচ্চাদের নিয়ে একটি পোস্ট। জয়ার সেই ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল- ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।
সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে কেউ নিতে আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা-খালা-চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে।’‘তারা জানে তাদের কেউ নিতে আসবে না। তারা সারাবছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদের সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদের কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।
মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদের দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেলেন? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারতেন না? মা বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।
সবাইকে অনুরোধ করে সেই পোস্টে আরও লেখা ছিল, ‘একটা অনুরোধ-এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।’