বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘জামাত এখন আওয়ামী লীগের রক্ষাকবচ।’ তিনি আরো লিখেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যতে আর সুখকর হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ লিখেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা হয়তো সুযোগের অপেক্ষায়-এই আশায় আছে যে দেশের অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষের রাজনৈতিক দলসমুহ আবারও একটি ১৯৮০ সালের মতো কোন একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ দলীয় জোট গঠন করে আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে সুযোগ করে দিবে। কিন্তু বিগত ষোল বছরের স্বৈরাচারী শাসন আমলের বাকি বিরোধী দলের যে অবস্থা আওয়ামী লীগ করে গিয়েছে তাদের পক্ষেও আর ঘুরে দাড়ানো সম্ভব হবে না।। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যতে আর সুখকর হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ
আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ লিখেছেন, ১৯৭২-৭৫ এর চরম নির্যাতনের শিকার হয়েও জাসদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। সশস্ত্র লড়াই করেছে। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গিয়েছে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে ২০ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। বিএনপিও বিগত ষোল বছর নির্যাতিত হয়েছে, গুম হয়েছে খুন হয়েছে নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মিথ্যা বানোয়াট গায়েবি মামলায় আসামি হয়ে জেলে ঢুকছে। অনেকের মিথ্যা মামলায় সাজা হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে বছরের পরে বছর পালিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে চলে যায়নি। লড়াই করে বাঁচতে চেষ্টা করেছে। বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতারা ১৯৭৫ সালের পতনের পরেও পালিয়ে ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে এবার ২০২৪ সালেও একইভাবে লড়াইয়ের বদলে সদলবলে পালিয়ে ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছে। অথচ দলটির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের কথা একটি বারও চিন্তা করে নি। তাদের প্রতি নেই কোন দিক নির্দেশনা। অসহায় নেতাকর্মীরা নেতৃত্বের অভাবে আজকে দিশেহারা হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে।
আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদের মতে, আওয়ামী লীগের যারা সুবিধাভোগী পরামর্শ দাতা তারা এখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাতের নেতাদের সাথে শলাপরামর্শ করে আওয়ামী লীগের জন্য একটা পথ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। এটাই আজকে আওয়ামী লীগের শেষ পরিনতি।