ইফতারে মিষ্টি শরবত খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু এর লুকানো কিছু ঝুঁকিও আছে। দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার পর ব্লাড সুগার কমে যেতে পারে, তখন চিনিযুক্ত শরবত শরীরে দ্রুত গ্লুকোজ সরবরাহ করে। এটি ক্লান্তি দূর করে, ডিহাইড্রেশন কমায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ করে। তবে, এই সুবিধাগুলো পেতে হলে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। অতিরিক্ত চিনি শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, ওজন বাড়ায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
চিনিযুক্ত শরবতের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘমেয়াদে হার্টের সমস্যা, রক্তে অতিরিক্ত শর্করার প্রবণতা এবং অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। তাই, শরবতের মিষ্টতার উৎস নিয়ে ভাবা দরকার। প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন মধু বা খেজুরের সিরাপ ব্যবহার করলে শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ডাবের পানি, বেলের শরবত বা লেবু-পানির মতো হালকা পানীয় বেশি স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
তাই, ইফতারে শরবত খেতে চাইলে সেটি পরিমিত পরিমাণে এবং সম্ভব হলে প্রাকৃতিক উপায়ে মিষ্টি করে খাওয়াই ভালো। এতে শরীরও চাঙা থাকবে, আবার দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে যাবে। ইফতারে শরীরের যত্ন নিলে, রোজার সময়টা আরও বেশি প্রাণবন্ত কাটবে!