পূর্ব দোনেৎস্কে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইরত দুই চীনা নাগরিককে আটক করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় বেইজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার অভিযোগ, রাশিয়া প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই যুদ্ধে চীনকে জড়াতে চাইছে। শুধু আটক দুইজন নয়, আরও বহু চীনা নাগরিক রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কিয়েভে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।
রাশিয়ার পক্ষে চীনা যোদ্ধাদের উপস্থিতির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস ঘটনাটিকে ‘বিরক্তিকর’ উল্লেখ করে বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সক্রিয় সমর্থক এখন চীন।” ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, শুধু চীন নয়, নেপাল ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকেও বহু ভাড়াটে যোদ্ধা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এর আগে উত্তর কোরিয়ার সেনাদেরও রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার তথ্য প্রকাশ করেছিল কিয়েভ।
এদিকে যুদ্ধের ময়দানে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনের দিনিপ্রো ও খারকিভ শহরে রাশিয়া বিশাল ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। আগুন ধরে যায় বেশ কয়েকটি এলাকায়। একই রাতে দোনেৎস্কের ক্রামাটোর্স্ক শহরের একটি আবাসিক এলাকায়ও গোলাবর্ষণ হয়েছে। যুদ্ধ চতুর্থ বছরে পা রাখলেও, এই সংঘর্ষের ভয়াবহতা যেন ক্রমেই বাড়ছে।