মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে ব্যাপক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের পতন হয়, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। রোববার (৬ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ৫০টিরও বেশি দেশ শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা অবশ্য এই পদক্ষেপকে ‘কৌশলগত’ আখ্যা দিয়েছেন। তাদের দাবি, নতুন শুল্ক আরোপ মার্কিন অবস্থানকে বিশ্ববাণিজ্যে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশীয় শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়াবে। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, বুধবার শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে বহু দেশ, যদিও নির্দিষ্ট দেশের নাম তিনি প্রকাশ করেননি। বেসেন্ট আরও দাবি করেন, এই শুল্ক পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘সর্বোচ্চ সুবিধা’ এনে দেবে এবং অর্থনীতিতে কোনো মন্দা আসবে না।
তবে অর্থনীতিবিদরা একমত নন। তাদের আশঙ্কা, নতুন শুল্কের ফলে জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় সব দেশের আমদানিপণ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে তাইওয়ান, ইসরায়েল, ভারত ও ইতালির মতো দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্ররাও শুল্ক ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে। বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা, যার পরিণতি নির্ধারণ করবে বিশ্ব অর্থনীতির আগামী গতি।