• ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সজাগ থাকতে হবে অহর্নিশ!

দখিনের সময়
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০৯:০২ পূর্বাহ্ণ
সজাগ থাকতে হবে অহর্নিশ!
সংবাদটি শেয়ার করুন...
অনেক বিষয় আছে, যেখানে ড. ইউনূস সরকার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, সবদিক থেকে বিধ্বস্ত দেশটিকে সঠিক ট্র্যাকে স্থাপন করতে পেরেছেন ড. ইউনূস, যা জনগণ স্বস্তির সঙ্গে লক্ষ করছে। আর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাব না ফেললেও এর অন্যরকম গুরুত্ব আছে। এটি অন্যরকম প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে বালা-মুসিবত কেটে যাবে—এমন নয়। কারণ, ঘরে-বাইরের রাজনীতির অনেক খেলা আছে। থাকে চিরকালই। সঙ্গে আছে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের অহম, যা বিচূর্ণ হয়েছে ৫ আগস্ট। ফলে এক ধরনের আক্রোশের অনলে জ্বলছে আগ্রাসী দেশটি।
এর বাইরে আরও অনেক খেলা আছে। এসব খেলায় প্রভাবিত হয়ে জনগণের স্বস্তি বিবেচনার বাইরে রেখে অন্য মতলবের কুশীলবরা এখন হয়তো বলবে শুরুতে উল্লেখ করা প্রচলিত গল্পের শেষ লাইনটি, ‘এত ভালো ভালো না!’ গ্রাম্য মতলববাজদের আদলে এই বাক্যের বিষয়ে সতকর্তার পাশাপাশি ঈদের প্রাক্কালে ৩০ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সতর্কবাণী বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ‘ঈদের জামাতে দলমত নির্বিশেষ সবাই যেন পরাজিত শক্তির সব প্ররোচনা সত্ত্বেও সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি, সেজন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করবেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’ সাধারণভাবে মনে করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার উল্লিখিত আহ্বান দেশবাসী অনুধাবন করতে পেরেছেন। ফলে ঈদকে কেন্দ্র করে নানান আশঙ্কা কাটিয়ে উঠা গেছে।
এই স্বস্তি ও তৃপ্তির পাশাপাশি এটি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, নানান বিষয়ে বাংলাদেশের বিপদ কিন্তু পায়ে পায়ে চলমান। যার স্পষ্ট ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টির অন্তত দুই বছর আগে ১৯৪৫ সালে। অতএব, আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলেই কেবল নয়, সতর্ক থাকতে হবে রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিবস এবং জোৎস্নাস্নাত রাতেও। সজাগ থাকতে হবে অহর্নিশ!
দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ৬/৪/২০২৫। শিরোনাম, ‘এত ভালো ভালো না!’