টোফু এবং পনির—দেখতে অনেকটা একই রকম মনে হলেও এগুলো এক নয়। টোফু উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে তৈরি, মূলত সয়া মিল্ক ব্যবহার করে, আর পনির প্রাণিজ উৎসের দুধ থেকে তৈরি হয়। পুষ্টি দিক থেকে দু’টোই সমৃদ্ধ, তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও ডায়েটের প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলোর প্রাধান্য আলাদা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে দ্রুত পুষ্টি পূরণ করতে উভয়ই ভালো, তবে খাবারের প্রস্তুতিতে অল্প তেল-মশলা ব্যবহার করলে এর পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
প্রোটিনের দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যায়, ১০০ গ্রাম পনিরে প্রোটিন থাকে প্রায় ১৮-২১ গ্রাম, যা টোফুর প্রোটিনের পরিমাণের (৮-১০ গ্রাম) চেয়ে বেশি। তাই পেশি শক্তি বাড়াতে পনির বেশি কার্যকর। অন্যদিকে, ওজন কমানোর লক্ষ্য থাকলে টোফু বেছে নেওয়াই ভালো, কারণ এতে ক্যালোরি কম এবং ল্যাকটোজও থাকে না, ফলে যারা দুধ হজম করতে পারেন না তারা সহজেই টোফু খেতে পারেন।
হৃদযন্ত্র ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও পার্থক্য আছে। টোফুতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, আর আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ থাকায় রক্ত গঠন ও পেশি গঠনে সাহায্য করে। পনিরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি১২ বেশি, যা হাড় ও স্নায়ুর পক্ষে উপকারী। তাই ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও স্বাস্থ্যগত লক্ষ্য অনুযায়ী টোফু বা পনিরকে ডায়েট তালিকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা সবচেয়ে ভালো।