হঠাৎ করে খাবারে অরুচি দেখা দিলে সেটিকে ছোটখাটো সমস্যা ভেবে অবহেলা করা ঠিক নয়। অনেকেই মনে করেন সাময়িক সমস্যা, কয়েকদিনেই সেরে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এই অরুচিই শরীরে বড় কোনো জটিল রোগের বার্তা বহন করতে পারে। তাই খাবারে অনীহা বা ক্ষুধা মন্দার মতো বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে দেখা জরুরি।
পেটে গ্যাস জমে গেলে, লিভারের অসুস্থতা, ফাঙ্গাল সংক্রমণ কিংবা শরীরে আয়রন ও ভিটামিনের ঘাটতির কারণে ক্ষুধা হঠাৎ করেই কমে যেতে পারে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে যেমন পেটে ব্যথা হয়, তেমনি খাওয়ার আগ্রহও নষ্ট হয়ে যায়। লিভারে সমস্যা থাকলে শুধু অরুচিই নয়, মাথা ঘোরা, ডায়রিয়া এবং ক্লান্তিও দেখা দেয়। আবার মুখে সংক্রমণ হলে স্বাভাবিক খাবারও মুখে রুচে না। ভিটামিন বি১২ বা আয়রনের ঘাটতিও এ ক্ষেত্রে বড় কারণ। এ ধরনের অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
আরও মারাত্মক দিক হলো, দীর্ঘস্থায়ী অরুচি মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ কিংবা ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে পাকস্থলী, কোলন, অগ্ন্যাশয় কিংবা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়, মুখে স্বাদের পরিবর্তন আসে। ফলে খাওয়ার ইচ্ছাই আর থাকে না। তাই ক্ষুধা কমে গেলে একে হালকাভাবে না দেখে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।