• ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো রাসেলের’

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ১৩:৫৭ অপরাহ্ণ
‘ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো রাসেলের’
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক :

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল র‌্যাবের কাছে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন- মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরবাইক, গাড়ী, গৃহস্থলীপণ্য, প্রসাধনী, প্যাকেজ ট্যুর, হোটেল বুকিং, জুয়েলারী, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি। এসব পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকারে দায় তৈরি হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায় ট্রান্সফার’ এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হত, দায় তত বাড়ত। গ্রেপ্তার রাসেল জেনেশুনে এ নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।