শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক
পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগঞ্জ থানার ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে যুবলীগ নেতার হামলায় কলেজের প্রভাষক আঃ হক জুয়েল সহ- ৩ জন আহত হয়েছে। আহত প্রভাষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মীর্জাগঞ্জ থানায় আহত কলেজ প্রভাষকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২৫ এপ্রিল সোমবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে মীর্জাগঞ্জ থানাধীন ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের পশ্চিম বাগের খালের মাটি কাটা নিয়ে স্থানীয় আবুল কালাম ও নুরুল হকের সাথে বিতর্ক হয় এসময় আঃ হক জুয়েল তাদের থামাতে গেলে তার উপর পূর্ব শ্ত্রুতার জের ধরে বেতাগী থানার হোসনাবাদ ড.আছমত আলী কলেজের প্রভাষক আঃ হক জুয়েল (৪৪)’র উপর হামলা চালায় স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সভাপতি নুরুল হক (৩৩)র নেতৃত্বে, তার ভাই মোঃ মতিন মোল্লা (৪০), নজরুল হক(৩৭) তাদের পিতা মোঃ আকব্বর মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লা (২৫), মোঃজব্বার মোল্লা উভয় পিতা আঃমজিদ মোল্লা, মোসাঃ রাজমিন বেগম (২২),সাবিনা বেগম (৩০) , সালমা বেগম (৩৫) সহ ৫-৬ জন সঙ্গবদ্ধভাবে এই হামলা চালায়। এসময় জুয়েলকে রক্ষা করতে এসে আবুল কালাম ও রাশেদ হামলার শিকার হয়। প্রভাষক আঃ হক জুয়েল জানায়, আমি রোজারত অবস্থায় ছিলাম । তাদের বিরোধ মিটাতে এগিয়ে আসায় আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
হামলার বিষয়ে ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খানকে ফোন দিলে তিনি জানান, “আমি লোকমুখে শুনেছি যে খালের মাটি কাটা নিয়ে চত্রা গ্রামে মারামারি হয়েছে। তবে কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত আমার কাছে অভিযোগ করেনি। ইউনিয়ন পরিষদে যদি অভিযোগ দেয় তাহলে আমি বিষয়টি দেখবো।” এব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ সহ-সভাপতি নুরুল হকের কন্টাক নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে মীর্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এখন কিছুই বলতে পারবোনা। বিভাগীয় কমিশনার স্যারের সাথে আছি বলে ফোন কেটে দেন।