দখিনের সময় ডেস্ক:
জরাজীর্ণ ছিল পটুয়াখালী পৌরসভা, এক সময়ে অবহেলিত। এখন সেই পৌরসভা নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর্ন্তজাতিকভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর দৃষ্টিনন্দন ঝাউতলা সড়কটি। বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা সেলফি তোলার জন্য আসছেন এই দৃষ্টিনন্দন জায়গায়। আর দেশ বিদেশের মিডিয়ায় পটুয়াখালীর উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় গর্বিত জেলার বাসিন্দারা।
পুরো পৌর শহর নিয়ে আসা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। নির্মল বাতাস, অক্সিজেন এবং ধুলোবালি মুক্ত রাখার জন্য সড়কের মাঝখানে এবং ফুটপাতে লাগানো হয়েছে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। রাতের চলাচলে সড়কের মাঝখানে এবং ফুটপাতে পর্যাপ্ত আলোর জন্য করা হয়েছে সিংগাপুরের আদলে লাইটিং। এ যেন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। গত চার বছরে এ জেলা শহরের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভা নির্মিত হয় ১৮৯২ সালে। ৩০ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে এই শহর। বর্তমানে এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে ১ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।
এই জেলা শহরের পুরনো পরিত্যক্ত খাল খনন শেষে গাছ লাগিয়ে ওয়াকওয়ে করায় সৌন্দর্য যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌর নগরীতে ঢুকতেই চোখে পড়ে ফোর লেন। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, শিক্ষার্থীদের চলাচল ও বাইসাইকেল ব্যবহারের জন্য রয়েছে সাইকেল লেন। পায়ে হাঁটা, প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াক ওয়ে জোন এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসার বেঞ্চ। আধুনিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শহরে গড়ে উঠেছে বহুতল দালান-কোঠা, বাহারি কারুকার্য খচিত ঘরবাড়ি। সড়কের মাঝখানে সবুজের সমাহার।
এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত। তাই জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়ন দেখাতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে মোদি সরকার। সেই প্রচারণাতেই বেধেছে বিপত্তি। শ্রীনগরের উন্নয়ন দেখাতে গিয়ে পটুয়াখালীর দৃষ্টিনন্দন সেলফি রোডের একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক প্রতিবেদনে ফ্রি প্রেস কাশ্মিরের দাবি, শ্রীনগরের উন্নত বুলভার্ড রোডের বর্ণনায় যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তার একটি বাংলাদেশের পটুয়াখালীর ঝাউতলার দৃশ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকেও ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে। যদিও পরে সবজায়গা থেকে ছবিটি সরিয়ে ফেলেছে আয়োজক কমিটি। বর্তমানে এ ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে সমালোচনা।