• ৩১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থামলে ভালো লাগতো

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
থামলে ভালো লাগতো
সংবাদটি শেয়ার করুন...

আনিস আলমগীর:

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তম সম্পর্ক ছিল, দু’জন দু’জনকে প্রমোট করেছেন শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন। শেখ হাসিনার কাছ থেকে গ্রামীণফোনের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুযোগও নেন ডক্টর ইউনূস। কিন্তু ইয়াজউদ্দিনের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করে তিনি নিরপেক্ষতা হারান। আবার ১/১১ কালে যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ তখন নিজে রাজনৈতিক দল খুলে ক্ষমতায় বসতে চেয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েন।

মনে পড়ে তখনো আমি দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় আমার এক কলামে আরেক নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলাম রাজনীতি তার কাজ নয়, তার সরে যাওয়া উচিত, যদিও তার পেছনে তখন অনেক মধু লোভী সুশীল জুটে গিয়েছিল। তার তখনকার ভক্ত সাবেক মেয়র আনিসুল হক ওই পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে সম্মানজনকভাবে পিছু হটতে পারেন সেই পরামর্শ নিয়েছিলেন আমি সহ বিভিন্ন টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং কয়েকটি দৈনিকের সম্পাদককে গুলশান ক্লাবে ডিনারে ডেকে। ডক্টর ইউনূসের হুঁশ ফিরে এসেছিল, তিনি বিদায় নিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে।

কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ককে আরো জটিল করে তোলে দলটির মধু খাওয়া, সুযোগসন্ধানীদের কেউ কেউ। শোনা যায় এক মহিলা মন্ত্রীর আইনজীবী স্বামী এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ডক্টর ইউনূসের অনিয়মের সুযোগ পেয়ে, সরকার এখন তাকে ছাড় দিচ্ছে না, আর ১০ জন নাগরিকের মতোই তাকে ট্রিট করছে আর উনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিদেশী সমর্থন।

মনে হচ্ছে, লেবার কোর্টে মামলা খেয়ে সেটা জোরালোভাবে মোকাবেলার পরিবর্তে তার ওপর আগে থেকে সরকারের যে ‘আক্রোশ’ সেটাকে পুঁজি করে বোকা জনগণের সেন্টিমেন্ট আদায়ে লিপ্ত আছেন ইউনুস সাহেব। এই ঠেলাঠেলি কবে থামবে জানিনা, তবে খুব বিরক্তি লাগছে। দুই পক্ষের বাড়াবাড়ি সীমাহীন। থামলে ভালো লাগতো।