• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকার অভাবে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না: পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ১৮:৫০ অপরাহ্ণ
টাকার অভাবে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না: পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সম্পদের অভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু বৈষম্য কমাতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। বেক্সিমকোসহ বড় বড় কোম্পানিগুলোর ব্যালেন্স শিটে টাকা থাকলেও বাস্তবে দেশে টাকা নেই। সব টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। ব্যাংকে জনগণ টাকা রেখেছে। কিন্তু ব্যাংকের টাকা দেশে নেই।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বল্পকালীন সময়ের জন্য এসেছি। তাই সবকিছু করা সম্ভব হবে না। আমরা এখন সম্পদের সংকটে আছি। ফলে বিভিন্ন খাতে কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারছি না। কিন্তু আমাদের দেশে বৈষম্য দূর করতে হলে গরিব মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তেমনি ধনীদের কাছ থেকে কর আদায় বাড়াতে কর নীতিমালায় সংস্কার আননেত হবে।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করব। কেউ বলছে এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ বলছেন এখনই নয়। কিন্তু আমি একসময় জাতিসংঘের এই কমিটিতে ছিলাম বলে বিষয়টি জানি। আমরা যে অবস্থায় আছি এতে এলডিসি উত্তরণের বিকল্প নেই। তবে আমরা যেটি করতে পারি সেটি হলো, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলেও উন্নত দেশগুলোকে বলতে পারি আমাদের সক্ষমতা এখনো বাড়েনি। তাই রপ্তানি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ এবং জিএসপি প্ল্যাস সুবিধা যেন দেওয়া হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা রানা প্লাজা ধ্বসের পর থেকেই জিএসপি সুবিধা পাচ্ছি না। তবে আমাদের শিল্পগুলোকে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। শুধু কম মজুরি, নিম্ন প্রযুক্তি ইত্যাদি দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখলে হবে না।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারের পক্ষে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের মতো অবস্থা থেকে যাত্রা শুরু করে ভিয়েতনাম আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারা ৩০-৪০টি দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করেছে। আমাদের এখনো একটি দেশের সঙ্গেও এই অ্যাগ্রিমেন্ট হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত হতে না পারলে আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে পারব না। তিনি আরও বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে আমাদের মানবসম্পদকে দক্ষ করতে হবে। এ দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ শতাংশ শিক্ষক নেই। আবার সাধারণ শিক্ষায় জেলায় জেলায় এমনকি উপজেলা পর্যায়েও বড় বড় অবকাঠামো হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। এখাতে বরাদ্দ দিলে সেটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে। তবে বলা হয় বড় বড় হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বানাতে হবে, ডায়ালাইসিস মেশিন কিনতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, দক্ষ অপারেটরের অভাবে এসব যন্ত্রপাতি থাকলেও তা পড়ে থাকে। এখানে এক ধরনের ডিলেমা আছে।