গ্রামের মোড়ের চায়ের দোকানে সকাল থেকেই হৈচৈ পড়ে গেছে। বুড়ো মফিজ ভোরবেলা একটা চমকপ্রদ সংবাদ এনেছেন। তার দাবি, “আমাদের সাদু গরু নাকি এখন দুধের বদলে সরাসরি ঘি দিচ্ছে!” কথাটা শুনে সবাই থমকে যায়। মফিজের মতো সৎ মানুষ তো এমন মিথ্যে কথা বলবেন না! তাই গুজবটা মুহূর্তেই পুরো গ্রামে ছড়িয়ে যায়।
সবার কৌতূহল চরমে উঠল। গরুর মালিক রহিম চাচাকে ধরে দোকানে হাজির করা হলো। রহিম চাচা বেশ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভঙ্গিতে বললেন, “আরে ভাই, আমিও তো অবাক! গরুটা একদিনের জন্য জ্বর হলো। তারপর থেকেই দুধে ঘি-মাখনের মতো গন্ধ পাচ্ছি। একবার ভেবেছি, গরুটা কী কোনো দেবত্ব পেল নাকি!” কথা শুনে কেউ হেসে গড়াগড়ি খায়, কেউ আবার খুব সিরিয়াস হয়ে বলে, “এটা তো ভালোই হলো। গরু রাখার খরচ ওঠা সহজ হবে!”
পরের দিন রহিম চাচার বাড়িতে একদল মানুষ হাজির। গ্রামের পণ্ডিত মশাই একটা নতুন তত্ত্ব দিলেন। “গরুকে নিশ্চয়ই বিদেশি খাবার খাওয়ানো হয়েছে। তাই এমনটা হচ্ছে।” রহিম চাচা ভেবে পান না, গরু তো সারা জীবন ভুসি আর খড় খেয়েই বেঁচে আছে। এরই মধ্যে রহিমের স্ত্রী হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লেন। সবাই অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, “গরুর দুধ নয় ভাই, আমিই ভুল করে দুধের হাঁড়িতে গলদা চিংড়ির ঘি ঢেলে দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই এই ‘ঘি দুধের’ কারবার শুরু হয়েছে!”বাকি সবাই লজ্জায় মাথা চুলকাতে চুলকাতে ঘরে ফিরে গেল। আর রহিম চাচা শপথ করলেন, “আমার গরু নিয়ে আর কখনো কোনো নতুন গবেষণা হবে না!”