পাকা মুখে বড় ছেলের বিয়ে দিতে চান হাজী রফিকুল। কিন্তু সমস্যা একটাই—ছেলে বিয়ের কথায় হাঁসফাঁস করে। কারণ, ছেলেকে বিয়েতে রাজি করানো মানে রিকশায় চাঁদে যাওয়ার চেষ্টা! একদিন রফিকুল সাহেব দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, “তুই দেখবি, ভালো মেয়ে পছন্দ হবে। বিয়ে কর, তা না হলে সমাজে মুখ দেখাব কেমন করে?” ছেলে কপাল কুঁচকে বলল, “আব্বা, মেয়ে ঠিক আছে। কিন্তু বেশি কথা বলা পাত্রীর দরকার নেই!”
এই কথা শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা তো হেসে কাত! ছেলের যুক্তি, যারা বেশি কথা বলে, তারা ঝগড়া করতে ওস্তাদ। রফিকুল সাহেব এবার ধৈর্য ধরে বললেন, “ঠিক আছে, মেয়ে চুপচাপ হলে তোর কোনো আপত্তি থাকবে না তো?” ছেলে মাথা নাড়িয়ে বলল, “হ্যাঁ, তবে বিয়ের দিন বেশি প্রশ্ন করলে সেখানেই বিয়ে বাতিল!”
পরের দিন পাত্রী দেখা হলো। মেয়ে সুন্দর, মার্জিত, কিন্তু চুপ থাকার বদলে বেশ প্রাণবন্ত। ছেলের চেহারা দেখলে মনে হয়, পেঁয়াজ কাটতে বসেছে! মেয়ে যখন বলল, “আপনার শখ কী?”, ছেলের জবাব শুনে সবাই চমকে উঠল। সে বলল, “শখ একটাই—বিয়ের পর এমন জীবনসঙ্গী চাই, যে কোনো প্রশ্ন করবে না!” পাত্রীপক্ষ হাসতে হাসতে বলল, “আপনার শখ শুনে তো মনে হচ্ছে, আমাদের মেয়েকে বিয়ের পর জাদুঘরে বসিয়ে রাখবেন!”
শেষমেশ হাজী রফিকুল রাগে বললেন, “তুই এক কাজ কর, নিজে নিজের বউ খুঁজে নে। তবে মনে রাখিস, এবার তোর শর্ত মেনে মেয়ের শর্তও রাখতে হবে। আর সেটা যদি হয়, ‘মুখ বন্ধ করে সংসার চালাবি’, তখন বুঝবি, জীবনটা কত মজার!”