তরমুজ শুধু সুস্বাদু নয়, এটি রোজায় শরীরের পানির চাহিদা পূরণে এক অসাধারণ ফল। তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি থাকায় এটি ইফতারে পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, ও পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। লাইকোপিন ও কিউকারবিটাসিন ই নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্যও এটি আদর্শ, কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম।
তরমুজ হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড সিট্রুলাইন পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তনালি প্রসারিত করে, ফলে রক্ত সুষ্ঠুভাবে পাম্প হয়। ত্বক ও চুলের জন্যও তরমুজ দারুণ উপকারী, কারণ এতে প্রচুর পানি ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখে। তবে তরমুজের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
তরমুজের উপকারিতা অসংখ্য হলেও কিছু সাবধানতাও আছে। যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত পানি গ্রহণ বিপজ্জনক হতে পারে, তাই তরমুজ খাওয়ার পরপরই পানি পান থেকে বিরত থাকা ভালো। সংযম ও সচেতনতার সঙ্গে তরমুজ খেলে রোজার ক্লান্তি দূর হবে, শরীর থাকবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত। তাই ইফতারের প্লেটে এক টুকরো তরমুজ রাখতেই পারেন, তবে পরিমিতির কথা ভুলে গেলে চলবে না!