মডেল মেঘনা আলমকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রোববার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় আইনি ঘাটতি ছিল। তবে এটি মানে নয় যে মেঘনার কোনো অপরাধ নেই। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে কারাগারে পাঠানো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
একই ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল জানান, বিগত সরকারের সময় করা কয়েক লাখ রাজনৈতিক মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৭ হাজার ১৮৪টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব মামলা রাজনৈতিক হয়রানির অংশ ছিল কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের পরই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রণালয় এইসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলেও আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রসঙ্গেও কথা বলেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, হ্যাকাররা ৮৮ মিলিয়ন ডলার লুট করলেও তাদের পরিকল্পনা ছিল দুই বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়ার। সরকারের গঠিত রিভিউ কমিটি ইতোমধ্যে কিছু টাকা উদ্ধার করেছে এবং বাকি অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান তিনি।