Home রাজনীতি পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড

পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির সমাবেশ পন্ড

দখিনের সময় ডেক্স ‍॥

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লাঠিপেটার পর সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়। গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সমাবেশ থেকে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। পুলিশের লাঠিপেটা চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ বলছে, এতে পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিএনপির বিক্ষোভ শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। গত মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়। সমাবেশে পুলিশের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা যদি এই অবৈধ সরকারের কথামতো আমাদের সমাবেশে বাধা দেন, তাহলে ভুল করবেন। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। আঘাত এলে পাল্টা আঘাত দিতে হবে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে লোক (জিয়াউর রহমান) রাজনীতিকে গ্রামে নিয়ে গেছেন, যে মানুষটি মিশে ছিলেন কাদামাটি ও পলিমাটির মধ্যে, নদীর উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে যাঁর নাম মিশে আছে, মিশে আছে জনগণের মনে, সেই নাম কোনো দিনও মুছে ফেলা যাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না: প্রধানমন্ত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক: কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুক জাতির...

শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকের বিকৃতযৌনাচার, ৩০ ছাত্রকে বলাৎকার

দখিনের সময় ডেস্ক: দশ বছরের কম বয়সী ৩০ জন স্কুলছাত্রের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করেছেন ৩৩ বছরের শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াকেল। শিশুদের বলাৎকার করে তিনি মোবাইলে...

রাজনীতিতে রনো ভাইরা আর নেই

রিকশায় না এসে প্রাইভেট কারে আসা এবং ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে থাকার বিষয়ে রনো ভাইয়ের লজ্জিত হওয়ার বিষয়টি আমাকে বহু বছর ধরে বহুবার আন্দোলিত করেছে। ধরাধাম...

যা অছে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টে

দখিনের সময় ডেস্ক: ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে দুবাই শহরে সাড়ে বাইশ কোটি ডলারের সম্পদ কিনেছেন ৩৯৪ জন। তবে আরও বিভিন্ন তথ্যাদি...

Recent Comments