বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান, সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, জনগণের অধিকার এবং তাদের প্রত্যাশা নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা আরও গভীর হতে হবে। ২৩ মার্চ, রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি বলেন, “জনগণ রাজপথে নেমে আসার ফলে একটি স্বৈরাচারী শাসককে দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এখন, আমাদের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হচ্ছে জনগণ এবং তাদের নাগরিক অধিকার।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করা, অ্যাম্বুলেন্সের দ্রুততা, শিক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলের উচিত এগুলো নিয়ে কথা বলা, এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সংস্কার এনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য, বিশেষত ভোটের অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার, একসাথে রাজপথে আন্দোলন করার মধ্যে দিয়েই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল এবং সেই সংস্কারের কথা আজও শোনা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “অতীতের শাসকগণ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, আর সেইসব প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠন করতে হবে। যদি আমরা এগুলো মেরামত না করি, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে না।” তারেক রহমান শেষ করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে, “জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সেটি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।”