সাবেক ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড
দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১৫:১৮ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক
জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অবৈধ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামির ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। যা অনাদায়ে আদালত আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে দণ্ডের বিষয়টি দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করা হয়।
এ মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এর আগে এই মামলায় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। দুদকের উপ-পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন একই বছরের ২৬ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় দুদক বজলুরকে আটক করে গত বছরের ২০ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল। ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উত্স তিনি দেখাতে পারেননি।
১৯৯৩ সালে জেলসুপার হিসেবে চাকরি শুরু করেন বজলুর রশিদ। ২০১৩ সালে তাকে ডিআইজি প্রিজন হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তাকে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়।