পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এলিট ফোর্স র্যাব এখন খুবই ‘সুশীল’ প্রবণতায় আছে। আছে নিউট্রাল গিয়ারে, অনেকটা যেন রাষ্ট্রের শোপিস। হয়তো এলিট সংস্থাটি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় নিমজ্জিত। বলা বাহুল্য, র্যাব বিলুপ্তির ধুয়া সাম্প্রতিক কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাজত্বকালে আমেরিকার স্যাংশন খাওয়া এ সংস্থা বিলুপ্তির দাবি তোলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কেন্দ্র থেকে। এ দাবিতে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বরাবর চিঠিও দিয়েছে।
বোধগম্য কারণেই এ চিঠিকে সরাসরি অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ কম। এ অবস্থায় অনেক প্রশ্ন উঠতেই পারে। প্রধান প্রশ্ন, অনিশ্চিত এ অবস্থানে পৌঁছানোর দায় কার? র্যাব বিলুপ্ত হলে কার ক্ষতি, কার লাভ? এবং পরিস্থিতি কী দাড়াবে? বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে এক বাক্যে বলে রাখা ভালো, র্যাব দানব হয়ে ওঠার পেছনে শেখ হাসিনা সরকারের যেমন দায় রয়েছে, তেমনই সুনির্দিষ্ট দায় আছে র্যাব গঠন প্রক্রিয়া এবং ধার করা আইনেও। মজার বিষয়, বিশাল বাজেটে শানশওকতের র্যাব চলছে নিজস্ব আইন ছাড়াই। জন্ম থেকে জ্বলার মতো। আর ধার করা আইনের মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি বাহিনীকে সরকারের ইচ্ছামতো অপব্যবহার করার অবারিত সুযোগ এবং যাকে এ সংস্থাটির মৃত্যু পরোয়ানা হিসেবেও বিবেচনা করা যায়।
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, শিরোনাম, ‘র্যাব যদি বিলুপ্ত হয়’