সিআইডিকে ব্যক্তিগত রাজত্বে পরিণত করা, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট গড়ে তোলা—এমন একাধিক অভিযোগে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার অবৈধ সম্পদ ও সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে খোঁজ নিতে সিআইডি সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আলী দুই বছর সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে থেকে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মামলা, তদন্ত ও অভিযান নিয়ন্ত্রণ করতেন। ক্ষমতা হারানোর পর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসছে তার বিপুল সম্পদের তথ্য।
এদিকে, সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২৩২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দের জন্য দুদক সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।