থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের দেহে হরমোন ব্যালেন্স ও মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা শরীরের শক্তি, ওজন, ঘুম এবং মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি (হাইপোথাইরয়েডিজম) বা অতিরিক্ততা (হাইপারথাইরয়েডিজম) হলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। এসব নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসের রয়েছে বড় ভূমিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খেলে থাইরয়েড সুস্থ রাখা সম্ভব। যেমন—আয়োডিনযুক্ত লবণ, ডিম, দই, বাদাম এবং মাছ।
আয়োডিন হরমোন তৈরির মূল উপাদান, যা পাওয়া যায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ও সামুদ্রিক মাছ থেকে। ডিমে থাকে আয়োডিন ও সেলেনিয়াম, যা হরমোন তৈরিতে সহায়ক। গ্রিক ইয়োগার্ট বা টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক ও প্রোটিন—এগুলো হজমের সঙ্গে সঙ্গে থাইরয়েডের কাজেও উপকারী। বাদামের মধ্যে ব্রাজিল নাটস সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর সেলেনিয়াম, যা হরমোন রূপান্তরে সহায়তা করে। আর টুনা, স্যামন বা সার্ডিন জাতীয় মাছ আয়োডিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা থাইরয়েড ফাংশনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
তবে কিছু খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা দরকার। কাঁচা ব্রকলি, ফুলকপি বা বাঁধাকপি জাতীয় খাবার বেশি খেলে হাইপোথাইরয়েড রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে, তবে রান্না করলে ঝুঁকি কমে। চিনি ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলাও ভালো। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, থাইরয়েড নিয়ে যেকোনো পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত—নিজে থেকে ওষুধ বা ডায়েট বদলানো একেবারেই ঠিক নয়।