• ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেজানো কিশমিশ: ছোট জিনিস, বড় উপকার

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুন ৩, ২০২৫, ১৮:১৫ অপরাহ্ণ
ভেজানো কিশমিশ: ছোট জিনিস, বড় উপকার
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
রোজ সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা শুধু উপকথা নয়, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে প্রমাণিতও। কিশমিশে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। এতে থাকা আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার রক্ত পরিষ্কার করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। কিশমিশের প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিনের মাত্রা বাড়ে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি শরীরে থাকা ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে। একইসঙ্গে এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে—তবে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। এতে থাকা বোরন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, মনোযোগ বাড়ায়, বিশেষ করে শিশুদের পড়াশোনায় মন বসাতে সাহায্য করে। আয়রন, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং কপার থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে ও রক্ত তৈরিতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও, কিশমিশে থাকা ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। চোখের জন্য রয়েছে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় এটি দুর্দান্ত—অলিওনেলিক অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় ও ক্যাভিটি ঠেকায় এবং ক্যালসিয়াম দাঁতের এনামেল শক্ত করে। পরিপাকতন্ত্রে সহায়ক ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ছোট এই শুকনো ফলটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব—প্রাকৃতিক, সহজ, এবং ওষুধ ছাড়াই।