• ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশে আরো দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে, উদ্বেগে অনেকে

দখিনের সময়
প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০২২, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ
পুলিশে আরো দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে, উদ্বেগে অনেকে
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
পুলিশের আরো দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।  এর আগে  আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক সচিবকে অবসরে পাঠানো হয়। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর এই তালিকায় আরও সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানাগেছে।
সূত্র বলছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। যে কারণে নির্বাচনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কট্টর বিএনপি-জামায়াত কানেকশনের কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বরে জানাগেছে।
সোমবার(৩১ অক্টোবর) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। গত ১৮ অক্টোবর সিআইডির দুজনসহ ৩ পুলিশ সুপারকে অবসর দেয় সরকার।  বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য ঢাকার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী। অবসরপ্রাপ্ত এ তিন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের। আর মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
যাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা সবাই পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা। তাদের ব্যাচের কর্মকর্তারা এখন অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছেন। তিন ব্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা রয়েছেন ১৫ ব্যাচের। এ ব্যাচের এসপি পদে অন্তত ২৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত। ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর এই ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগদান করেন। সে সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিল। তাই রাজনৈতিক আদর্শের কারণে এই ব্যাচের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়নি। ১২তম ও ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তাও রয়েছেন যাদের এসপি হওয়ার পর আর পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এসব ব্যাচের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদারও কিছু কর্মকর্তাও দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত। তাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর পার হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের ক্ষেত্রে ২৭তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা ২২৫ জনের মতো। যাদের অধিকাংশেরই রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে পদোন্নতি হয়নি। তবে চাকরির বয়স ২৫ বছর না হওয়ায় এসব কর্মকর্তা অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে, রাজনৈতিক কারণে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে দীর্ঘদিন ধরে সরকার পদোন্নতি দিচ্ছে না। এসব কর্মকর্তার পেছনে প্রতি মাসে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভালো পদায়নেও নেই। অনেক কর্মকর্তারা শুধু রুটিন করে অফিসে যান। তিন পুলিশ সুপারের অবসরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণা, ঠিকমতো অফিস না করার অভিযোগ আছে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।’