পাকা আম মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এটি খাওয়ার সময় ও পরিমাণ জানাটা জরুরি। অনেকেই খালি পেটে আম খেয়ে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি কিংবা বদহজমে ভোগেন। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে আম না খেয়ে নাশতার পর খান। নাশতার পর এক বা দুই ফালি পাকা আম খাওয়া হজমে সহায়তা করে ও শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়।
দুপুরের খাবারের পরও আম খাওয়ার আদর্শ সময় হিসেবে ধরা হয়, বিশেষ করে যদি আপনার খাবারে ভাত বা রুটি থাকে। কারণ তখন শরীর গ্লুকোজ গ্রহণে প্রস্তুত থাকে, আর আমের প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ সহজেই রক্তে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে। তবে খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে হজম ভালো হয়। আর যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় বা খাবারের পরপরই শুয়ে পড়া হয়, তাহলে আমের মিষ্টতা হজমে সমস্যা করতে পারে।
রাতে আম খাওয়ার অভ্যাস একেবারে বাদ দিন। রাতে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, ফলে আমের চিনিযুক্ত উপাদান সহজে হজম হয় না। এতে গ্যাস, অস্বস্তি এমনকি ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে, প্রতিদিন একটির বেশি আম খাবেন না, বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। আর ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা আম না খেয়ে কিছু সময় রেখে ঘরের তাপমাত্রায় খেলে হজম সহজ হয়।